চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় কবি সবুজ তাপস ও তার সুহৃদ বন্ধুরা সম্পূর্ন অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হতে বৈশাখী উৎসব (১৪১৩) করতে অগ্রসর হয়েছেন। 'আমার বৈশাখ আমার উৎসব' স্লোগান ব্যবহার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে সেটা আর করা সম্ভব হয়নি। বৈশাখের শেষের দিকে (২৭ বৈশাখ ১৪১৩, ১০ মে ২০০৬) ষোলশহর রেলস্টেশনে উৎসব অনুষ্ঠানটি করতে হলো। সেদিন ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় যায়নি, ষোলশহর স্টেশনে প্রাণের উৎসবে শরিক হতেই বাসা হতে বেরিয়েছিল। বটতলীর উদ্দেশ্যে হোক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে হোক, ষোলশহর স্টেশন হয়ে যাওয়ার সময় সকল ট্রেনই যাত্রীশূন্য হয়ে গন্তব্যে পৌছেঁছিল। সেদিন ষোলশহর স্টেশন যেন হয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি যেন বলে দিচ্ছিল- তারা বহুদিন ধরে এরকম একটা জাকজমকপূর্ণ বৈশাখী উৎসব চেয়েছিল এবং ‘আগামী’র ব্যানারে তারা তা সফল করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের
উদ্যোগে বড় আকারের বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠান এটাই ছিল প্রথম, যেটা ক্যাম্পাসে নয় শহরের ষোলশহর স্টেশনে
অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকার কারণেই উৎসবটি ষোলশহর স্টেশনে হয়েছিল।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর
ছিল ছাত্রশিবিরের আছর: প্রক্টর সকালে উৎসবের আয়োজকদের এককথা বলে, বিকেলে আরেক কথা।তাছাড়া দেশটাও ওই
অশুভ শক্তির কব্জায় ছিল, সারাদেশে চলেছিল তালেবানি শাসন-শোষণ।
শুরুতেই শিবিরের বাধা : অযৌক্তিক ধর্মঘট আহ্বান
বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন।।
সুবীর মহাজন।।দৈনিক প্রথম আলো (আলোকিত চট্টগ্রাম)/১৩ এপ্রিল ২০০৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।। নববর্ষের অনুষ্ঠান বানচাল
করতে ভিন্ন ব্যানারে শিবির ধর্মঘট ডেকেছে!।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।। দৈনিক
প্রথম আলো/১৪ এপ্রিল ২০০৬চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।। ধর্মঘট ডেকে শিবিরের তাণ্ডব, নববর্ষের উৎসব পণ্ড।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।। দৈনিক প্রথম আলো/১৬ এপ্রিল ২০০৬
উৎসব আয়োজনকারী আগামী’র সমন্বয়কারী সবুজ তাপস বলেন, ‘শিবিরের তাণ্ডবে আমরা উৎসব স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে বৈশাখ মাসের মধ্যেই নতুন করে উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেব। তখন যদি শিবির এভাবে ছাত্রধর্মঘট ডেকে অনুষ্ঠান বানছালের চেষ্টা করে, তবে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট আহ্বান করব’।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের তাণ্ডব: নববর্ষের
অনুষ্ঠান পণ্ডকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।। সম্পাদকীয়/ দৈনিক প্রথম আলো/
১৭ এপ্রিল ২০০৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।। একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আগামী’/
প্রেস বিজ্ঞপ্তি/ দৈনিক প্রথম আলো/১৮ এপ্রিল ২০০৬
অদম্য সবুজ তাপস ও তার সুহৃদ মাহমুদ হাসান
বৈশাখী উৎসব ১৪১৩।। বিজ্ঞাপন।। দৈনিক সুপ্রভাত
বাংলাদেশ/ ৯ মে ২০০৬
বৈশাখী উৎসব ১৪১৩।। বিজ্ঞাপন।। দৈনিক
প্রথম আলো/ ৯ মে ২০০৬
শিবিরের বাধার মুখে চবি ক্যাম্পাসে হতে পারেনি:
ষোলশহর রেলস্টেশনে আজ বৈশাখী উৎসব।। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি/ দৈনিক সুপ্রভাত
বাংলাদেশ/১০ মে ২০০৬আয়োজক কমিটির সদস্য সবুজ তাপস সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উৎসব অনুষ্ঠান না হলেও আমরা আশা করছি এখানেও প্রচুর সমাগম হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নগরীর লোকজনও উৎসবে শামিল হবে বলে আমাদের বিশ্বাস’। তিনি শিক্ষার্থীদের নিজেদের অনুষ্ঠান মনে করে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
সফলতা ও বিফলতা
চবি ক্যাম্পাসের বৈশাখী উৎসব ষোলশহরে, তবুও মুখরিত।। শহরের ভেতর গ্রাম, প্রাণহীনইটের
জংশনে প্রাণের মেলা।। রাশেদুল হাসান তুষার।। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ/১১ মে ২০০৬
আয়োজক আগামীর অন্যতম সদস্য তরুণ কবি সবুজ তাপস বৈশাখী উৎসবটিকে সফল বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত উৎসবটি হলো এবং তাতে ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে তারা মনে প্রাণে এমন অনুষ্ঠান চায়।